ঢাকা অ্যাটাক : মুভি রিভিউ
ঢাকা অ্যাটাক
অভিনেতা: আরেফিন শুভ, মাহিয়া মাহি, শতাব্দী ওয়াদুদ, এ বি এম সুমন, নওশাবাসহ আরো অনেকেপরিচালক: দীপংকর দীপন
ছবির ধরন : কপ থ্রিলার
বাংলা চলচ্চিত্রে কখনোই পুলিশকে, পুলিশের লাইফস্টাইলকে, পুলিশের অপারেশনগুলোকে ভেতর থেকে দেখার সুযোগ হয় নি। সেই আফসোস মিটিয়ে দেবার জন্যই ঢাকা অ্যাটাক হাজির হয়েছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম কপ থ্রিলার নিয়ে। বাংলাদেশ পুলিশের ভেতর-বাহির, স্যাক্রিফাইস ও থ্রিল- সবটুকুই বোঝানোর দায় নিয়েছে ঢাকা অ্যাটাক। হঠাৎ শুরু হওয়া সিরিয়াল কিলিং, প্রতি খুনে খুনির নিজের চিহ্ন রেখে যাওয়া, আতংকিত দেশবাসীদের বাচঁতে জীবনবাজি রেখে বোমা ডিসপোজ করতে ঝাঁপিয়ে পড়া পুলিশ অফিসারদের দল আর মানসিকভাবে বিকৃত এক ভিলেনের গল্প এই “ঢাকা অ্যাটাক”।
এমন থ্রিলিং গল্প নিয়ে বাংলাদেশে এর আগে মুভি হয়েছে বলে মনে হয়না। যদিও এই টাইপের মুভি হলিউডে অনেক হয়েছে। তবে ঐদিকে যাওয়া যাবে না কারণ এটা বাংলা মুভি, বাস্তবে থেকে দেখতে হবে। ঢাকা অ্যাটাকের গল্পটা সিরিয়াল কিলিং দিয়ে শুরু। লাশের গায়ে স্মাইলি ইমোটিকন আর বিভিনো লেখা গল্পকে অন্যরকম টুইস্ট দিয়েছে। হঠাৎ একটা স্কুলবাসে বোমা হামলা, এই হামলার সাথে খুনের সম্পর্কগুলো জড়িয়ে শুরু হয় পুলিশ আর ভিলিনের খেলা। তবে এই ভিলেন মিশা সওদাগর, আহমেদ শরীফের মত কুত্তার বাচ্চা, শুয়োরের বাচ্চা ডেকে চিল্লানো ভিলেন না। ভিলেন (তাসকিন রহমান) এর চোখ আর লুক দেখলে আপনার মনে হবে সে রিয়েল লাইফেই ভিলেন। গল্পে সে এমন একটা মানুষ যে পুরো দেশকে ভয়ে রাখতে পারে। সে কি একা নাকি পেছনে কেউ আছে? তার সাথে এই সিরিয়াল কিলিং এর কি সম্পর্ক জানতে হলে মুভিটি দেখতে হবে।
শতাব্দী ওয়াদুদ একজন গুণী অভিনেতা এখানেও ফাটিয়ে দিয়েছেন। আরেফিন শুভ, এবিএম সুমন আর সোয়াট টিমে কাজ করা নওশাবা, শিপন কারো অভিনয়ই খারাপ মনে হয়নি। তবে মাহিকে পরিচালক সঠিকভাবে ব্যাবহার করতে পারেননি। আইটেম সং হিসেবে প্রচলিত গান টিকাটুলির মোড়ে...... এনজয় করার মতো তবে ভাললাগার বিষয় হচ্ছে গায়ে কাপড় রেখেও যে আইটেম সং করা যায় সেটাই দেখিয়েছে ছোট পর্দার মিমো। ভিলেনকে নিয়ে কিছু বলার নাই। ভিলেন হিসেবে অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী তাসকিন রহমান এখানে অসাধারণ কাজ করেছেন। মুভিটিতে স্টারের অভাব নাই যেমন আলমগীর, আফজাল হোসেন, হাসান ইমাম।
এটা যে পরিচালকের প্রথম মুভি বুঝা দায়। যদিও দীপন সাহেব বলিউডে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ক্যামেরা, স্ক্রিনপ্লে, ভিএফএক্স এর কাজ ভাল হয়েছে। লোকেশন সুন্দর। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্র যেমন মাঝে মাঝে দেখা গেছে আরেফিন শুভর মাথায় চুল বড় আবার একই দৃশ্যেই চুল ছোট, মাহি একবার তার অফিসের বসকে ডেকেছেন ভাইয়া আবার স্যার। তবে গল্পটি গোছানো ও মেকিং সুন্দর হওয়ার কারণে এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যাওয়া যায়।
0 comments:
Post a Comment